চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গত ২৮ জুলাই থেকে অসুস্থ ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী। নিহত বিজিপি সদস্যের নাম কোয়া নন্দ (৩০)। তিনি মিয়ানমার বিজিপির ল্যান্স কর্পোরাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, ২৮ জুলাই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর মেডিক্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মারা যান। প্রায় একমাস চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মর্গে রাখার পর আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার দূতাবাসের উপযুক্ত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ মর্যাদায় যথাযথ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে রামু শ্মশানে মৃতদেহের অন্ত্যেস্ট্রিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে ১২৪ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তাদের আশ্রয় দিয়ে টেকনাফস্থ দমদমিয়া সীমান্ত রেস্তোরাঁয় বিজিবির প্রহরায় রাখা হয়েছে।