লাইফস্টাইল

তেলের পুষ্টিগুণ চুলে পৌঁছে দেওয়ার উপায়

ভেজা চুলে তেল মালিশ করা যায় আবার শুকনো চুলেও তেল মালিশ করা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুকনো চুলে তেল মালিশ করা ভালো। তার কারণ, শুকনো চুল তেলের পুষ্টিগুণ বেশি শোষণ করতে পারে। চুলে মালিশ করার জন্য নারিকেল তেল বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নারিকেল তেলের পুরোপুরি পুষ্টিগুণ পেতে হলে একেবারে ঠান্ডা তেল ব্যবহার না করে উষ্ণ বা কুসুম গরম তেল ব্যবহার করা ভালো। তেল গরম করলে স্বাভাবিকের থেকে পাতলা হয়ে আসে। ফলে চুলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যায়। 

চুলে তেল মালিশ করার আগে দশ মিনিটের মতো চুল আঁচড়ে নিতে পারেন। এতে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়বে। এরপর চুলগুলো চার বা পাঁচ ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিটি ভাগের চুলের গোড়া থেকে মাঝ পর্যন্ত আঙুলের ডগা দিয়ে তেল মালিশ করে নিতে পারেন। এরপর বাকি অংশে তেল মালিশ করলেই হয়ে গেলো। চুলে তেল মালিশ করার পরে টেনে না বাঁধাই ভালো। এতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। চুলে তেল মালিশ করা হয়ে গেলে চুলগুলো আঁচড়ে নিন।

গোসলের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে চুলে তেল মালিশ করতে পারেন। এরপর কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে খুব ভালো অনুভব করবেন। চুল পরিষ্কার করতে চাইলে মৃদু বা কোমল জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।