সারা বাংলা

দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কে ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চাটশাল থেকে শিবারামপুর গ্রাম পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চলাচল করেন উপজেলার কাশিয়ারা, শিবরামপুর, হরিনাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বৃষ্টির মৌসুমে এই সড়কের পুরো অংশ কাদায় পূর্ণ থাকে। যে কারণে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী ও নারীরা। স্থানীয়দের ভাষ্য, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার গেলেও কেউ সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেননি। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবারামপুর গ্রাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। মাটির রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কটি কাদায় পূর্ণ হয়ে থাকে। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদে রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেন গ্রামবাসীরা।

শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ১০টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটে প্রধান সড়কে যেতে হয়। বর্ষাকালে এই সড়কের অবস্থা থাকে অবর্ণনীয়। আমরা বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে পারি না। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যাওয়া আসায় ভোগান্তিতে পড়ে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমাদের রাস্তা নির্মাণ কাজ হচ্ছে না।’

ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোনারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এই ওয়ার্ডের সড়কটির বেহাল দশা। বর্ষাকালে সড়ক দিয়ে লোকজনরা চলাফেরা করতে পারেন না। এর আগে, আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে রাস্তার বিষয়ে অনেক বার বলেছি। তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নিকট বিষয়টি আবারও জানাবো, দেখি কী হয়? 

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিসুর রহমান বলেন, ‘চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবরামপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা খুবি জরুরি। বর্ষাকালে কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচলে খুবি অসুবিধা পড়েন। রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো সমস্যার সৃষ্টি করেছে। গাছগুলোর মালিক ইউনিয়ন পরিষদ ও উপকার ভোগীদের। এর আগের ইউএনও গাছগুলো কাটার জন্য টেন্ডার দিয়েছিলেন। উপকার ভোগীর সাধারণ সম্পাদক এবিষয়ে আদালতে মামলা করেন। যে কারণে গাছগুলো কাটা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান এখানে অনেকটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। উপকার ভোগীর সাধারণ সম্পাদক যদি মামলা তুলে নেয়, তাহলে পুনরায় টেন্ডার দিয়ে গাছগুলো কাটা হবে।’