আদ্রিতা, তোমাকে বলছি সকালের নরম আলো কতদিন দেখিনি! সেদিন দেখেছি, শরীর ভিজিয়েছ আলোয় শান্ত চোখে মেখেছ দারুণ ভোর সজীব আবেগে ছুঁয়েছ হাসনাহেনা, তার গন্ধে পরিতৃপ্ত হয়েছ বার বার। সে তৃপ্তির ছাপ পড়েছিল ঠোঁটে তোমার চোখে, মুখের বিভায়। আড়ালে দাঁড়িয়ে সব দেখেছি; দেখেছি, নারীময় সেই ভোর।
হঠাৎ বইছিল দক্ষিণা বাতাস তাতেই উদাসী হয়ে উঠলে তুমি চোখে-মুখে ফুটল বিষাদের ছাপ; বিশ্বাস করো আদ্রিতা, তোমার সেদিনের জল টলমল চোখ আর কষ্টের অল্পনাময় সেই মুখ আমাকে হতাশায় পুড়িয়ে ছিল।
হঠাৎ সেই দৃশ্যপট গেল উল্টে নিজেকে স্থীর করে দাঁড়ালে তুমি চোখ বন্ধ, সজাগ কান; শুনছিলে টুনি পাখির আওয়াজ, আমি তখন বিস্ময়ে দেখলাম শান্ত, কোমল তোমার স্নিগ্ধ মুখ তাতে দোল খেলা চূর্ণ অলক।
আদ্রিতা, আমার উঠোনেও সকাল ফোটে আমি কখনো সে সকাল ছুঁয়ে দেখিনি! তুমিময় সেই সকাল থেকে কান পেতে শুনি, টুনির আওয়াজ শুধু তুমিময় সেই সকাল থেকে ভোরের আলো ছুঁই, প্রবল উৎসাহে, আর মনে মনে ভাবি, এই সেই সকাল যে সকাল, নরম কোমল আদ্রিতাময়।