ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছেও।
এসকে ট্রিমসের কোম্পানি সচিব মো. রিয়াজ হায়দার স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মুহূর্তে বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। কারণ কোম্পানিটি শতভাগ রপ্তানিমুখী ও ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়। অথচ কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা রয়েছে। তারপরও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যাংক হিসাব জব্দ করার পরেও গত জুন থেকে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য খুবই চেষ্টা করে আসছিল। তবে যখন কোম্পানির ব্যাংক হিসাব চালু করা হবে, তখন উৎপাদন শুরু করা হবে, যা সবাইকে জানানো হবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে। এরপরে রপ্তানিমুখী, কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বলে অনুরোধ করলে ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক ফ্রিজ তুলে নেয়। কিন্তু, ১১ জুলাই দুদকের সুপারিশে মেট্রোপলিটন জাজ ও বিএফআইইউ ৯টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে। কোম্পানিটিতে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের মালিকানা রয়েছে, এমন খবরে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। অথচ কোম্পানিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের কেউ পর্ষদে নেই এবং তাদের সরাসরি মালিকানা নেই। তবে, এসকে ট্রিমসে মতিউর রহমানের ছেলে ও মেয়ে গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ ও গ্লোবাল সুজের শেয়ারহোল্ডার। যে দুটি কোম্পানি এসকে ট্রিমসের মালিকানায় আছে। কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ তুলে নেওয়া হলেই আবারও উৎপাদন চালু করা হবে।