সারা বাংলা

শ্রমিক লীগ নেতার ড্রেজার ব্যবসা, নদীপাড়ে ভাঙন আতঙ্ক

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নে শ্রমিক লীগ নেতা আমিনের বিরুদ্ধে নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আমিনের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই ড্রেজার চালানো হচ্ছে। 

এলাকাবাসীর ভাষ্য, প্রায় অর্ধযুগ ধরে প্রতি বছর ধলেশ্বরী নদীর দিয়ারা ভবানিপুরসহ আশেপাশের এলাকায় আমিনসহ প্রভাবশালীরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করেন। ফলে জাগীর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর পাড় এলাকায় প্রতি বছর নদী ভাঙন দেখা দেয়। এসব ড্রেজারের কারণে সাধারণ মানুষদের ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে জাগীর ইউনিয়নে দিয়ারা ভবানিপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, সালাম মহুরির জমির সামনে ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন আমিন। নদী থেকে বালু তুলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাইপ দিয়ে একটি কারখানায় ফেলা হচ্ছে। সব পাইপ ফসলি জমি ও রাস্তার ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

ভবানিপুর এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বছরের পর বছর আমিন ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন নদী থেকে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করছেন তিনি। সস্প্রতি সরকার পতন হলে তার ব্যবসা কিছুদিন বন্ধ থাকে। বর্তমানে স্থানীয় বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে আমিন আবারো নদীতে ড্রেজার বসিয়েছেন। যে কারণে সাধারণ মানুষজন তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না। 

তারা আরও বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুই পাড়েই ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। প্রশাসনের লোক এসে পাইপ ভেঙে দিলেও ড্রেজারের কিছু করে না। প্রশাসনের লোক চলে গেলে আবারো ড্রেজার চলে। 

আমিনের ড্রেজার ব্যবসার অংশীদার মিন্টু বলেন, ‘জাগীর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আলোচনা করে ড্রেজার বসিয়েছি। সবকিছুই আমিন দেখাশোনা করে।’ 

শ্রমি কলীগ নেতা আমিন বলেন, ‘ড্রেজার চালানো অবৈধ তা জানি। সবার সাথে সমন্বয় করে ব্যবসা করছি। কারো কোনো অভিযোগ নেই।’ 

জাগীর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মামুন রেজা বলেন, ‘নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন পুরোপুরি অবৈধ্য। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’