মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিকার সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নাহিদ হোসেন (২০) নামে এক যুবক। নাহিদের জন্য তার প্রেমিকা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়িও দিয়েছিলেন। তবে, পরিবারের লোকজন প্রেমিকাকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার শোক সইতে না পেরে চলন্ত বাসের নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন নাহিদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসের কাছে ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া নাহিদ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মন্ডলের ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাহিদ হোসেনের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের এক মেয়ের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে প্রেমিকা গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জ থেকে নাহিদের বাড়িতে আসেন। প্রেমিক নাহিদ হোসেন তার প্রেমিকাকে নিয়ে আত্মগোপনে নওগাঁ দুবলহাটি নানার বাড়িতে যান। প্রেমিকার স্বজনরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়ে উদ্ধারে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে রাতেই আসেন নাহিদের বাড়িতে। নাহিদ ও তার প্রেমিকার অবস্থান জেনে তারা নওগাঁর দুবলহাটিতে যান।
সেখান থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে মাইক্রোবাসে নিয়ে সোমবার ভোরে দুবলহাটি থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মেয়েটির স্বজনরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাহিদ হোসেনকে অদমদীঘির ফায়ার স্টেশনের কাছে নামিয়ে দিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে চলে যান স্বজনরা। প্রেমিকাকে হারানোর শোক সইতে না পেরে নাহিদ হোসেন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে চলন্ত বাসের নিচে লাফিয়ে পড়েন। বাস চাপায় তার মৃত্যু হয়।
আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মঈন উদ্দীন বলেন, আমরা মারা যাওয়া যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ঘটনার আগে মেয়ের পরিবারের লোকজন এবং ছেলের পরিবারের লোকজন সবাই কথা বলছিলেন। সেখানে ছেলের এলাকার লোকজনও ছিলো। এর মধ্যে মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে চলে যান। এমন সময় নাহিদ এ ঘটনা ঘটায়। নাহিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।