নিরপেক্ষ ভেন্যু বৃহত্তর নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে গতকাল সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। এটি আফগানিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক টেস্ট। কারণ, এবারই প্রথম তারা নিউ জিল্যান্ডের মতো বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এই টেস্ট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল আফগানরা।
কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি তাদের আগ্রহ ও উদ্দীপনায় জল ঢেলে দিচ্ছে। গতকাল বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে গড়ানো দূরের কথা, টসও সম্ভব হয়নি। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি কম হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত খেলা শুরুর করা যায়নি। সে কারণে আজ দ্বিতীয় দিনের দুপুর পর্যন্ত আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা মাঠে আসেননি। আসেননি নিউ জিল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও।
বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই অসন্তুষ্ট আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। যদিও তারা সরাসরি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে (বিসিসিআই) কিছু বলেছেন না, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে তারা বিরক্ত।
ভারত নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে বৃহত্তর নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম, লক্ষ্ণৌ ও দেরাদুনকে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে আফগানিস্তানকে। বৃহত্তর নয়ডায় এই সময়ে বৃষ্টি হবে সেটা জানতো আফগানিস্তান। তাই তারা লক্ষ্ণৌ অথবা দেরাদুনে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণে সেটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি।
এদিকে টেস্ট ভেন্যু হিসেবে নয়ডার অবস্থা যাচ্ছেতাই। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে গড়ানো যায়নি। মাঠ মোটামুটি শুকালেও কাভার পয়েন্ট ও মিড উইকেট অঞ্চলে পানি জমে ছিল।
আজ সে কারণে গ্রাউন্ড স্টাফরা অনুশীলন পিচ থেকে মাটি ও ঘাস এনে মিড উইকেট অঞ্চলের পানি জমা স্থানটি খুঁড়ে ঠিক করার চেষ্টা করেন। যদিও সেটা মনোপুত হয়নি আম্পায়ারদের।
শুধু তাই নয়, মাঠের যেসব অঞ্চলে পানি জমে এখনও ভেজা রয়েছে সেগুলো ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস দিয়ে শুকানোর চেষ্টা করতেও দেখা যাচ্ছে।
প্রথমে নয়ডার প্রেসবক্স ছিল তাবুর নিচে মাদুর ও চেয়ার বসিয়ে বানানো। সেখানে ছিল না কোনো ইন্টারনেট কিংবা বৈদ্যুতিক সংযোগ। অবশ্য সাংবাদিকরা অভিযোগ করার পর প্রেসবক্স সরিয়ে নেওয়া হয়।
নয়ডার অবস্থাকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমও যাচ্ছেতাই বলে উল্লেখ করেছে। বিশেষ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া। বিসিসিআই’র সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা অবশ্য সমালোচনা করতে সাহস পাচ্ছেন না। তবে তারা ভারতীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এখানকার অবস্থা খুবই বাজে। এখানে আর আমরা আসতেছি না।’
এই ভেন্যুতে ২০১৭ সাল থেকে আফগানিস্তান বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করেছে। এবারই প্রথম টেস্ট আয়োজন করছে। সেটার অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাজে।