চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রজব আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নারী সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে, তাকে অপসারণের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছিলেন স্কুলটির শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার সময় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়েন রজব আলী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিদ্যালয় থেকে রজব আলীকে অপসারণের দাবি তোলেন। প্রধান শিকক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দেরি করায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মাইনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর সরজমিনে বিদ্যালয়ে তদন্তে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান তিনি। পরে রজব আলীকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, রজব আলীর অপসারণ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে মাইনুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন রজব আলীর লোকজন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাইনুল বলেন, ‘অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য রজব আলীর পক্ষের লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা বাড়িতে হামলার কথা বলেছে।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রজব আলী পালাতক। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নয়াদিয়াড়ী হাজী ইয়াকুব আলী মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. শাহজাহান আলি বলেন, ‘রজব আলীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলায় একটি অভিযোগ হয়। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা এসে তদন্ত করেছেন। রজব আলীকে চাকরিচ্যুতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত দুইদিন ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন।’
গোমস্তাপুর উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসহাক আলি বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে কথা বলে রজব আলীকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীল পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’