লাইফস্টাইল

সময় এখন ‘মিক্সড ম্যাটেরিয়াল’ পোশাকের

এসেছে শরৎ। গ্রীষ্মের তাপদাহ আর বর্ষার বৃষ্টি পেরিয়ে নীল – সাদা মেঘের ছায়া মেখেছে প্রকৃতি। মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস নিতে চাচ্ছে। এই সময়টাতে প্রকৃতির সতেজতা পোশাকে ফুটে ওঠে। এদিকে দুয়ারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজা। এজন্য ফ্যাশন ডিজাইনাররা শরৎয়ের রং ও পূজার উৎসব মুখরতাকের প্রাধান্য দিয়ে ফেব্রিক আর রং বাছাই করছেন।

ফ্যাশন হাউস ঋতি’র সত্বাধিকারী মুসাররাত নওশাবা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এবার শরৎ নিয়ে কাজ করছি। আবার পূজার বাজারও টার্গেট করছি। এজন্য লাল রংকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে মিক্সড ম্যাটেরিয়ালের পোশাক বেশি তৈরি করা হচ্ছে। নিজস্ব ডিজাইনের তাঁত সুতির পাশাপাশি অরগাঞ্জা ও সফট মিক্সড সিল্কে কাজ করছি। ঋতি’র নিজস্ব নকশার পাশাপাশি টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি আর বেশ কিছু সুন্দর রং ও ভালো বুনটের মনিপুরি শাড়িও থাকছে শরৎ ও পূজার আয়োজনে।’

এদিকে আর কিছুদিন পরেই শুরু হয়ে যাবে বিয়ের মৌসুম। কনের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদেরও থাকে আলাদা প্রস্তুতি। মিক্সড ম্যাটেরিয়ালের পোশাক, অরগাঞ্জা আর সফট মিক্সড সিল্ক কিন্তু বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্যও পারফেক্ট।

শরৎয়ের জন্য ভালো কোন কোন ফেব্রিক?— এই প্রশ্নের জবাবে মুসাররাত নওশাবা বলেন, ‘আমি সবসময় সুতিতে আরাম পাই আর ভাদ্রের গরমে সুতির চেয়ে আরামদায়ক কোনো তন্তু নেই আমার মতে। তবে, দাওয়াত বা বিশেষ অনুষ্ঠানে একটু জমকালো পোশাকে ম্যাটেরিয়াল হিসেবে সফট সিল্ক-জর্জেট ও সিল্ক-অরগাঞ্জা- ভালো পছন্দ হতে পারে।’

ঋতি’র কর্ণধার জানালেন, শরৎয়ে ক্রেতাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি মনিপুরি, সুতি আর অরগাঞ্জা ফেব্রিকের পোশাকে।