সাক্ষাৎকার

উই নিয়ে অভিযোগ একেবারেই অপ্রত্যাশিত: নাসিমা আক্তার নিশা

ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স-এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা। ই-কমার্স ব্যবসা সম্প্রসারণে বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ই-প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য তিনি আলোচিত এবং প্রশংসিত একজন। কিন্তু সম্প্রতি তাকে ঘিরে নানা সমালোচনার জন্ম হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নাসিমা আক্তার নিশার বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই সব বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন নাসিমা আক্তার নিশা। কথোপকথনে ছিলেন রাশিদা খাতুন।

রাইজিংবিডি: ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স সরকারের সহযোগিতা কোন পর্যায়ে পাওয়া শুরু করে?

নাসিমা আক্তার নিশা: একটা দীর্ঘ জার্নি শেষ হওয়ার পরে আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি। ২০১০ সালে সফটওয়্যার কোম্পানি ‘রেভারি করপোরেশন’-নিয়ে কাজ শুরু করি। যখন নারী উদ্যোক্তা খুবই কম। সেই সময় গেম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করি। তখন অনেক ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করেছি। আমি জানতাম না কীভাবে ফিন্যান্স হ্যান্ডেল করতে হয়, কীভাবে নেটওয়ার্কিং করতে হয়; কীভাবে গেম ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিন রেডি করতে হয়। তখন আমার মনে হয়েছিল নারীদের জন্য এমন একটা প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত যেখানে নারীরা নিজেদের ভেতর একটা নেটওয়ার্কিং সেশন করতে পারে। তারা যেন একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে পায়। আমি কাজ করতে গিয়ে যেখানেই ঠেকে যেতাম সেই সেটাই নোটডাউন করে রাখতাম। মনে হতো এইসব জায়গা নিয়ে নারীদের জন্য কাজ করা উচিত। ২০১৬ সালে ই-কমার্স অ্যাসেসিয়েশন ই ক্যাব-এ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করি। সেই হিসেবে ই-কমার্স সেক্টরের যে যাত্রা বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল- আমরা ছিলাম প্রথম দিককার মানুষ। আমি কাজ খুব এনজন করছিলাম এবং মনে করেছিলাম এই সেক্টর নারীদের জন্য একেবারে নিরাপদ একটি সেক্টর। টোটাল আইটি সেক্টর কিংবা টোটাল করপোরেট সেক্টর থেকে আলাদাভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ই-কমার্সে। আমি দেখলাম অনেক নারী তাদের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিচ্ছেন বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য। ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই বাচ্চাকে সময় দিয়ে অফিস করতে পারছেন না। কারণ ১০ থেকে ৬ টা অফিস করতে হয় সেইটা একটা ঝামেলা। ই-কমার্সে এই বাধ্যবাধকা নেই। নারীদেরকে ই-কমার্সে উদ্বুদ্ধ করার ইচ্ছা পোষণ করলাম।  এরপরে ২০১৭ সালে ওমেন অ্যান্ড ই কমার্স তৈরি করি। প্রথমে গুটিকয়েক নারী উদ্যোক্তা নিয়েছি। প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল নারীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করাবো, ট্রেনিং করাবো। তো সেইজন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপ এবং ট্রেনিং করানো শুরু করলাম। সেগুলো ঢাকা বেইজই হতো। ২০১৯ এর শেষের দিকে ওমেন অ্যান্ড ই কমার্সকে দেশীয় পণ্যের একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা শুরু করলাম। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিডের জন্য পুরো বাংলাদেশ লকডাউন হয়ে গেলো। সে সময় দেখলাম যে অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করতে শুরু করেছে। তখন  আমি বেশকিছু ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্টার্ট করলাম ‘ফ্রি’তে। কারণ তখন আমাদের এইচআর, ট্রেইনার সবাই বসে ছিলেন। আমি চাচ্ছিলাম তাদেরকে কাজে লাগাতে। চমৎকারভাবে সারা পেলাম পুরোদেশ থেকে। বাংলাদেশে ই লার্নিংয়ের একটা ঘাটতি ছিল। আমরা যে টার্গেট নিয়েছিলাম চার-পাঁচ বছরের জন্য সেই টার্গেট কোভিডের মধ্যেই ফিলআপ হযে গেলো। মার্চে যখন লকডাউন শুরু হয় তখন আমাদের গ্রুপ মেম্বার ছিল ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বর আসতে আসতে আমাদের উদ্যোক্তা হয়ে যায় ১০ লক্ষ। এতেই বোঝা যায় এই জায়গাটায় কত ঘাটতি ছিল, আমরা সেই ঘাটতি পূরণ করতে পেরেছি। কিন্তু এরপরেই ট্রলিং শুরু হয়ে গেলো। আবার অনেকে প্রশংসাও শুরু করলেন। সরকার আমাদের কাছে জানতে চাইলো তোমরা কী চাও? আমরা বলেছি— ট্রেনিং দরকার। উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। কারণ টেকনোলজি বার বার চেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগ সময় ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকতে হবে। তখন আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ‘কোরসা’ নামের একটি ট্রেনিং ফ্রিতে দেওয়া হলো। যেটা অনেক এক্সপেনসিভ কিন্তু আমাদের উদ্যোক্তারা সেটা ফ্রিতে করার সুযোগ পায়।

রাইজিংবিডি: উদ্যোক্তাদের ‘এন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস’ ট্রেনিং বিষয়ে জানতে চাচ্ছি। নাসরিন আক্তার নিশা: উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা একটি ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির সঙ্গে মিলে একটা ইন্টারন্যাশলান ট্রেনিং শুরু করলাম ‘এন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস’ নামে। যেটা নিয়ে বর্তমান এতো কথা হচ্ছে। এইটার প্রথম সিরিজ বেশ ভালোভাবে শেষ করলাম। দ্বিতীয় সিরিজ শেষ করতে আমার অনেক সময় লেগেছে কারণ আমার কাছে কমিটমেন্ট ছিল যে,  দ্বিতীয় সিরিজের জন্য আমরা সরকারের কাছ থেকে একটা বরাদ্দ পাবো। কিন্তু সেই বরাদ্দ পাইনি। যার কারণে এই সিরিজটি শেষ করতে অনেক সময় লেগেছে। আমি নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে কমিউনিটি লিডার হয়েছিলাম ২০২২-সালে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাকে একটা অর্থ বরাদ্দ দেয়, কারণ আমি তাদের ট্রেনিং করেছি। সেই টাকা দিয়ে আমি ‘এন্টারপ্রেনার মাস্টারক্লাস’এর যে ডিউ ছিল সেটা পরিশোধ করি। এ ছাড়া আমরা টাইম টু টাইম উদ্যোক্তাদের আত্ম উন্নয়নের জন্য, সমস্যা সমাধানের জন্য নানান ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করতাম, পলিসি লেভেলের রাউন্ড টেবিল বৈঠক করতাম, আমরা সামিট করেছি, মেলা করেছি।– আমরা এ পর্যন্ত যতগুলো উদ্যোগ নিয়েছি সবগুলোই উদ্যোক্তাদের বেনিফিটের কথা চিন্তা করে নিয়েছি। এখন অনেকে ভাবতে পারে যে, সবইতো রেজিস্ট্রেশন ফি দিযে করতে হয়েছে। তো রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াতো করা যাবে না। অন্যান্য অনেক গ্রুপ আছে যেখানে শুধুমাত্র পোস্ট অ্যাপ্রুভাল নিতে টাকা লাগে, মান্থলি টাকা দিতে হয়; সেখানে আমাদের গ্রুপে আমরা ফ্রিতে পোস্ট দিতে দিচ্ছি। কোনো টাকা পয়সা নিচ্ছি না।

রাইজিংবিডি: সাবস্ক্রাইব মডেল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই বিষয়ে কি বলার আছে। নাসিমা আক্তার নিশা: আমরা কিছু বেনিফিটের জন্য সাবস্ক্রাইব মডেল নিয়েছি। যেখানে উদ্যোক্তারা কিছু বেনিফিট পাবে। যেমন অনেক গণমাধ্যম বলে যে— শাড়ি রিলেটেড আমাদের পাঁচজন উদ্যোক্তা লাগবে। তখন আমরা সাবস্ক্রাইবার থেকে তাদেরকে পাঠাতাম। আবার দেখা গেলা কোনো মন্ত্রণালয় বললো, আমরা নারীদের ব্লক-বাটিকে ট্রেনিং শেখাবো, আপনি কিছু উদ্যোক্তা দেন। তখন আমরা সাবস্ক্রাইবার থেকে সেই উদ্যোক্তা দিতাম। কারণ ততদিনে ১২ লক্ষ মেম্বার হয়ে গেছে। তো ১২ লক্ষের ভেতর আমরা কাদেরকে দেবো এই সুযোগগুলো? র‌্যানডমলিতো দিতে পারবো না। যারা আমাদের সাবস্ক্রাইবার, যারা আমাদের মেম্বার তাদেরকেইতো আমরা দেবো। তাইনা? সেই হিসেবেই কিন্তু আমরা কাজ করে আসছি। 

রাইজিংবিডি: সরকার নারী উদ্যোক্তাদের যে অনুদান দিয়েছে, এই টাকা উদ্যোক্তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছেছে? নাসিমা আক্তার নিশা: আমি বলতে চাই গ্রান্টের (অনুদানের) টাকা সরকার ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০০০ নারী উদ্যোক্তাদের দিয়েছে। ২০২২ সালে নারী উদ্যোক্তাদের দুই দফায় দিয়েছে। কিন্তু ২০২২সালেই ১২৫০ জন নারী উদ্যোক্তাদের দুই দফায় টাকা দিয়েছে। অগাস্টে এবং সেপ্টেম্বরে। এই ১২৫০জন নারীর ভেতরে উই থেকে ৭৫০ জন নারী উদ্যোক্তা গ্রান্টের টাকা পেয়েছে। উইকে বেশি দেওয়ার কারণ হচ্ছে, তৎকালীন মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এই গ্রান্টের টাকা দেওয়ার প্রস্তাবটা উই-এর কাছ থেকেই আসছিল। আমরা উনাকে বলেছিলাম, আইসিটির স্টাট অ্যাপ প্রজেক্টের একটা আইডিয়া একটা স্টার্টআপ কোম্পানি পিচিং করলে দশ লাখ টাকা ৫ কোটি পর্যন্ত গ্রান্ট দেয়। এত টাকা আমাদের উদ্যোক্তাদের দরকার নেই, আমাদের উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে দেন। কিন্তু এককালীন একটা ‘সীড মানি’ দেন, যেটা দিয়ে উদ্যোক্তারা তার ওয়েবসাইট করবে, সে তার উদ্যোগের কিছু পণ্য কিনবে এবং কিছু ট্রেনিং করবে। এভাবেই উদ্যোক্তাদের গ্রান্টের টাকা পাওয়া শুরু হলো। - এই প্রস্তাবে মন্ত্রী মহোদয় রাজি হন এবং ২০২২- এটা শুরু হয়। গ্রান্টের সমস্ত টাকা উদ্যোক্তারা নিজে গিয়েছেন এবং কোন অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর কিন্তু আইসিটিতে লিখিত হয়ে আসতে হয়েছে।  যে স্ট্যাম্পে লিখিত দিতে হয়েছে সেই স্ট্যাম্পে আমারও সাইন ছিল এবং ওই প্রকল্পের পিডিরও সাইন ছিল। তারপরেও মানুষজন ভুল বুঝছে আমি নাকি দুই হাজার নারী উদ্যোক্তার গ্রান্ট নিয়ে নিয়েছি। এগুলো ভুল তথ্য। আইসিটিতে গেলেই এর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। 

রাইজিংবিডি: অর্থলুটের অভিযোগ- এমনকি ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা উঠে এলো। এর কারণ কী বলে মনে করেন? নাসিমা আক্তার নিশা: আমাদের অনেক রাইভাল অরগানাইজেশন আছে, গ্রুপ আছে। মানে উই নামে অনেক গ্রুপ আছে আবার নারী উদ্যোক্তাদের অনেক গ্রুপ আছে। যেগুলো উইয়ের মতো আনফরচুনেটলি বড় করতে পারেনি। এক্ষেত্রে তাদের স্ট্যাটেজির ভুল। সেখানে আমার কোনো দায়ভার নাই। আমি আমার মতো কাজ করে গিযেছি। আমি দিন রাত দৌড়েছি উইকে একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।  সেই জায়গায় ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ঘটনা, যে আমি একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করেছিলাম আরিফার হোসেনের। সেই স্ট্যাটসটা ছিল ছাত্র আন্দোলন না হলে আজকে আমাদের মার্তৃভাষা উর্দূ হতো। তখন ছাত্র আন্দোলন হচ্ছিলো বাংলাদেশে। এরপরেই সরকার মহল থেকে আমাকে নানান ধরনের প্রেসার ক্রিয়েট করা হয়। তারা বলেছে, আমি যদি এই স্ট্যাটাস ডিলেট না করি তাহলে তারা নারী উদ্যোক্তাদের এই প্ল্যাটফমটাকে বন্ধ করে দেবে। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল আন্দোলন করার চাইতে আমার চুপ থাকা ভালো। কারণ আমি অনেক ছোট মানুষ। সরকারের অনেককে নিয়ে প্রোগ্রাম করি ঠিকই কিন্তু সরকারের সঙ্গে আমার ওই পরিমাণ কানেকশন নাই যে আমি তাদের কথা ডিনাই করবো। এরপর আমি পোস্টটা ডিলেট করে দেই। এরপরেই ওই যে রাইভাল গ্রুপ ওরা একটা হাতিয়ার পেয়ে গেল। তারপর থেকে তারা নানান জল্পনা, কল্পনা করে পোস্ট দেওয়া শুরু করলো। আমি সরাসারি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কথা বলিনি ঠিকই কিন্তু আমার জায়গা থেকে যতটুকু পেরেছি হেল্প করেছি। সবকিছু সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতে হবে, তেমন না। ৫ আগস্ট সরকার পতন হলো। তখন আরেক ধরনের বিপদ আসলো। যেহেতু ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে আমার কোনো পোস্ট নাই তখন আমি হয়ে গেলাম, সরকারের পা চাটা দালাল। আমার সাথে নাকি সরকার মহলের অনেকের খাতির ছিল। আমার নাকি অনেক আজে বাজে রিলেশন ছিল- এমন অনেক কথা উঠেছে এবং উঠছে।

রাইজিংবিডি: বান্ধবীর বরের সঙ্গে পরকিয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এটা নিয়ে কী বলবার আছে? নাসিমা আক্তার নিশা: পরকিয়ার অভিযোগ একেবারেই আনফরচুনেট (অপ্রত্যাশিত)। আমার মনে হয় এটা নিয়ে আমরা আর না কথা বলি। আমার ফ্যামিলি থেকে এটা নিয়ে কথা বলার কোনো অনুমতি নেই। আমি যে বিল্ডিংয়ে আছি- এই বিল্ডিংয়ে আমার শ্বশুরবাড়ির সবাই থাকেন। উনারা বলেছেন, অনেক জলঘোলা হয়েছে, তোমার সংসার, সন্তান আছে চুপ থাকো। আমার তাদের কথা শুনতে হবে। এটা ছাড়া সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি রাজি আছি।

রাইজিংবিডি: উদ্যোক্তাদের নিয়ে উইয়ের বর্তমান কার্যক্রম জানতে চাই। নাসিমা আক্তার নিশা: সর্বশেষ আমরা গ্লোবাল স্টেপিং শুরু করেছি। এর মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তাদের পণ্য দেশের বাইরে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং সুযোগ আস্তে আস্তে আরও বাড়ছে।