রংপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত স্বর্ণ শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন মিলনের মরদেহ দাফনের ৫৮ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলা হয়।
কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড আহমেদ শাহাদৎ, কোতোয়ালি থানার এসআই রাসেল মিয়া, সেনাসদস্য ও নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারসহ স্বজনরা।
নিহত মিলন নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গনেশপুর এলাকার মোখলেছুর রহমান মন্টুর ছোট ছেলে।
রংপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড আহমেদ শাহাদৎ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মোসলেম উদ্দিন মিলনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহ দাফন করা হবে।’
নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর আয়ে সংসার চলতো। তার চলে যাওয়ায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এতিম হয়েছে আমার স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে। যারা তাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কোতোয়ালি থানার এসআই রাসেল মিয়া জানান, দাফনের সময় মরদেহটি ময়নাতদন্ত করা ছিলো না। তাই আদালতের নির্দেশে এবং বাদী পক্ষ যাতে ন্যায় বিচার পান সেজন্য আজ পরিবারের উপস্থিতিতে মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করা হলো। ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, রংপুর নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার স্বর্ণ শ্রমিক মিলন গত ১৯ জুলাই সিটিবাজার এলাকায় ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সেসময় পরিস্থিতি বিবেচনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়। গত ২৭ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আদালতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।