গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকৃত ইজিবাইক, মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এতে জানানো হয়, ইজিবাইক ছিনতাই করতেই চালককে হত্যা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক রায়হান কবীর মিলন তার ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পর দিন ১২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা গ্রামের জনি মুরমুর বাঁশঝাড়ের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পরিবারের লোকজনকে খবরে দিলে তার মা এসে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ইজিবাইক চালক আবু রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, নিহত রায়হান কবীর মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাওন নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে পুলিশ ছিনতাইকৃত ইজিবাইক, নিহত রায়হানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। আসামি শাওন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খরিতা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (২৭), পলাষট্টি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (১৯), একই গ্রামের বিশ্বনাথ মালির ছেলে চন্দন মালি (৩০) এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মোখলেছের ছেলে মীর হোসেন (২৪)।