টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, ঝড়ের পর মিয়ানমারে মারাত্মক বন্যা এবং ভূমিধসে অন্তত ২২৬ জন মারা গেছে। এছাড়া এখনো ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ভূমিধসে কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। কয়েক হাজার একর ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের জরুরি খাদ্যের পাশাপাশি পানীয় জল, বাসস্থান এবং বস্ত্রের প্রয়োজন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, নয়টি রাজ্য ও অঞ্চলে ঝড় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে দেশটির রাজধানী নেপিদোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরে মান্দালে, পশ্চিমে ম্যাগওয়ে এবং দক্ষিণে বাগো - মিয়ানমারের বৃহত্তম নদী ইরাওয়াদির উপকূলে অবস্থিত অঞ্চলগুলোও রয়েছে। এছাড়া উত্তর-পূর্বে শান রাজ্য এবং এর দক্ষিণে অবস্থিত সোম, কায়াহ ও কাইন রাজ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিয়ানমারের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় ছয় লাখ ৩০ হাজার মানুষ বন্যার কারণে অবরুদ্ধ হয়েছে। এছাড়া রাস্তা, সেতুসহ যোগাযোগাব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ত্রাণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।