খেলাধুলা

পারিশ্রমিক বৈষম‌্য দূর হবে ক্রিকেটেও

পারিশ্রমিক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অসন্তোষ আজকের নয়। পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের তুলনায় বলতে গেলে কিছুই পাননা নারী ক্রিকেটাররা। পারিশ্রমিক এই বৈষম‌্য অচিরেই দূর করা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই বৈষ‌ম‌্য দূর করার প্রক্রিয়াতেই আছেন। আস্তে আস্তে নারীদের বেতন, ম‌্যাচ ফি বাড়িয়ে পুরুষদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমনের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ‌্যমে হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘অনেক দলই এখন বৈষম্য রাখছে না। কয়েকটা দেশের কথা জানি, যাদের ছেলে ও মেয়েদের ম্যাচ ফি সমান। আমাদের এখানে শুরুর দিকে মেয়েদের পারিশ্রমিক অত বেশি ছিল না। কিন্তু এখন পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি অনেক বেড়েছে। গত বছরও আমরা বাড়িয়েছি। সামনেও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে কিছু।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবার আগে নিউ জিল‌্যান্ড নারী ও পুরুষ ক্রিকেট দলের ম্যাচ ফি সমান করে। তাদের পর ইংল‌্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও একই উদ‌্যোগ নেয়। ভারতও একই পথে হেঁটেছে। কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দূর করেছে পারিশ্রমিক বৈষম‌্য। বাংলাদেশে পুরুষ ক্রিকেট দল টেস্ট ম‌্যাচে ৬ লাখ, ওয়ানডেতে ৩ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা করে ম‌্যাচ ফি পায়। নারী ক্রিকেট দল টেস্ট খেলছে না। ওয়ানডেতে তাদের ম‌্যাচ ফি ১ লাখ, টি-টোয়েন্টিতে ৫০ হাজার টাকা।

বিশাল এই পার্থক্য দূর করতে পারলে নারী ক্রিকেট এগিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব‌্য করেছেন হাবিবুল, ‘এটা যদি হয়, তাহলে আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। আরও বেশি মেয়ে ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত হবে। আমাদের এখানে এমনিতেই সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা আছে মেয়েদের খেলাধুলায় আসা নিয়ে। এখান থেকে মেয়েরা উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারলে হয়তো অনেক বাধা সরে যাবে। আমরা সেরকম একটা আবহ গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। তবে আরও অনেক কাজ করার আছে।’ 

বিসিবির আগ্রহ সেরকমই, ‘ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব আমাদের ছিল। সামনেও থাকবে। যদিও (ছেলেদের) সমান ম্যাচ ফি করতে এখনই হয়তো পারা যাবে না, নানা বাস্তবতা ভেবে বলছি। তবে কাজটা শুরু হয়েছে। আগের চেয়ে আর্থিক কাঠামো এখন ওদের ভালো। প্রতি বছর একেকটি পদক্ষেপে আমরা এগোচ্ছি।’