দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতির মিটিং বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকের পর্ষদ বা পর্ষদের সহায়ক কমিটি মিটিংয়ে পরিচালকদের শতভাগ শারীরিক উপস্থিতি থাকতে হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতির মিটিং করার নির্দেশা দিয়েছিল, এখন দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসায় এ নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে।
তবে, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন নয় এমন ব্যাংকে বিদেশি পরিচালকদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটিসমূহের সভায় অন-লাইনে যুক্ত থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতারা গাঁ-ঢাকা দিয়েছে। অনেক বিদেশে পালিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে আছেন। তাদের জন্য এ নির্দেশনা অশনি সংকেত। কারণ তারা চাইলেও আর বিদেশে বসে বা অজ্ঞাত স্থান থেকে আর ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না—এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের পরিচালক টানা তিন মাস পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। ব্যাংক আইন বলা হয়েছে, কোনো পরিচালক বিদেশে অন্যূন ৩ মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করলে তার বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে ব্যাংকের পর্ষদ।