নেত্রকোণায় গত কয়েকদিন ধরে চলা মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আকাশ মেঘলা করে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যায় দমকা বাতাস। বৃষ্টির আর বাতাসের শীতল পরশে সব বয়সী মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
নেত্রকোণা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির আগে জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার এই জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নেত্রকোণা শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা হেপী সরকার বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আকাশ মেঘলা ছিল। হালকা বাতাসও বয়ে যাচ্ছিল। সোয়া ১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন দমকা বাতাসও ছিল। কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম থেকে পরিত্রাণ পেলাম। এখনো আকাশ মেঘলা। এখন বলতে আবহাওয়া অনেকটাই শীতল।’
নেত্রকোণা সদরের বারহাট্টা রোড এলাকার চিকিৎসক উমর ফারুক বলেন, ‘দুপুরের বৃষ্টিতে গরম কেটেছে। কয়েকদিন ধরে এতো গরম লাগছিল যে, কিছুই ভালো লাগছিল না। শরীরে সবসময় একটা অস্বস্তি লেগেই ছিল।’
সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এইচ আর খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিনের গরমে বাসার প্রতিটি মানুষ খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছে। আজকের দুপুরের বৃষ্টি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছে। এখন অনেক ভাল লাগছে। অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আকাশের যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে আরো বৃষ্টি হতে পারে।’
নেত্রকোণা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, ‘আজ দুপুরে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নেত্রকোণায় তাপপ্রবাহ অনেকটাই কমে এসেছে। দুপুর ৩টার দিকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নেমে এসেছে। এটা এখন কন্টিনিউ করবে। বৃষ্টি হওয়ার আগে জেলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এ জেলায়। তখন জেলায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।’