সেশনজটের কারণে তিন বছরের ডিগ্রি পাশ করতে ছয় বছর সময় লাগে। এ কারণে ডিগ্রি শিক্ষার্থীরা অটোপাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) বরাবর স্মারকলিপি দেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে এবং ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ডিগ্রি কোর্স সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও গত ৬/৭ বছরে ফাইনাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ শেষ হয়নি। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে অবহেলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্সের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ডিগ্রি থেকে বিসিএস বা ভালো চাকুরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ২ বছরের মাস্টার্স করা প্রয়োজন হয়।
তারা আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি কোর্সে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী বেশিভাগই নিয়মিত, অনিয়মিত, প্রাইভেট ও সার্টিফিকেট কোর্সের এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জীবিকার তাগিদে পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই কাজ করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক সময় চাকরিও ছেড়ে দিতে হয় তাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আন্দোলনে আহত-ট্রমায় ভোগা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। বন্যায় অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে মানবিক কারণে অবিলম্বে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের সিজিপিএ-এর ভিত্তিতে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের সব সেশনের ফাইনাল শিক্ষার্থীদের দ্রুত অটোপাস দিয়ে তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করছি।