চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুর ম্যাচে হারার পর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। কোচের কথা রাখলেন শিষ্যরা। লিগ ম্যাচে ফিরেই দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দেখালো বার্সা। ভিয়ারিয়ালের জালে বইয়ে দিলো গোলবন্যা। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই জোড়া গোলে বার্সেলোনাকে দারুণ শুরু এনে দেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। যদিও এক গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন আয়োসে পেরেজ। বাকি সময়ে কেবল বার্সেলোনার রাজত্ব। দ্বিতীয়ার্ধে পাবলো তোরে ব্যবধান আবার বাড়ানোর পর জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া।
ভিয়ারিয়ালের মাঠে ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল ভিয়ারিয়ালই। প্রথম ভালো সুযোগটিও পায় তারা। ষষ্ঠ মিনিটে বাম দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে বক্সে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাবেক আর্সেনাল ফরোয়ার্ড নিকোলাস পেপে। দুই মিনিট পর ইয়েরেমি পিনো বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
বার্সেলোনা প্রথম সুযোগ পায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে। লামিনে ইয়ামালকে হতাশ করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।সপ্তদশ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইয়ামাল। তার চমৎকার কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লাগে। একটু পর পেদ্রির নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ম্যাচের ২০তম মিনিটে। পাবলো তোরের থ্রু বল ধরে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পোলিশ তারকা। ইয়ামালের ক্রসে এরিক গার্সিয়ার হেড গোলরক্ষক ঠেকালেও ওভারহেড কিকে জালে পাঠান সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার।
দুই মিনিট পর ব্যবধান কমায় ভিয়ারিয়াল। ৩৭তম মিনিটে রক্ষণ অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে পড়েছিল বার্সেলোনার। বক্সে পেপের পাসে ঠিকানা খুঁজে নেন পেরেজ। বিরতির আগে নিয়মিত গোলরক্ষ মার্ক আন্দ্রে টের স্টাগানকে হারায় বার্সা। প্রতিপক্ষের একটি কর্নারে লাফিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাজেভাবে মাটিতে পড়ে ডান হাঁটুতে চোট পান স্টেগান।
এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। পেদ্রির পাস বক্সের বাইরে পেয়ে জোরাল শট নেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার তোরে। বল প্রতিপক্ষের একজনের শরীরে লেগে জালে জড়ায়।
৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন রাফিনিয়া। বক্সে পাউ ভিক্টরের পাসে জোরালো শটে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তিনি। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা ইয়ামাল চমৎকারভাবে উঁচু করে বল বাড়ান বক্সে, ছুটে গিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ১৮। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ভিয়ারিয়াল।