গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয়ের ক্ষেত্রে প্রধ্না বাধা হয়ে ছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। চতুর্থ দিন শেষে তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নায়ক হতে পারলেন না রাচিন। ৯২ রানের ইনিংস খেলেও জেতাতে পারলেন না নিউ জিল্যান্ডকে। গল টেস্টে ৬৩ রানে জিতেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিন শেষেই। পঞ্চম দিনে জিততে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট, নিউ জিল্যান্ডের ৬৪ রান। তবে শ্রীলঙ্কার সহজ কাজটা কঠিন করে তোলেন রাচিন। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে গেছেন। কিন্তু পঞ্চম দিনে শ্রীলঙ্কার প্রথম শিকার হন রাচিন। তাতেই শেষ নিউ জিল্যান্ড।
পাহাড়ের মতো দৃঢ়তা নিয়ে লঙ্কানদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান রাচিন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় অপরাজিত ছিলেন ৯১ রানে। শেষ বিকেলটা দারুণ কাটান রাচিন। ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং, নিজের কাছে স্ট্রাইক রাখা, ঝুঁকি না নেওয়া- সব মিলে রাচিনে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড।
পঞ্চম দিনে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলটা আঘাত করেছিল রাচিনের প্যাডে। উঠলো জোরালো আবেদন। আম্পায়ারও তুলে দিলেন আঙ্গুল। শেষ আশা হিসেবে রিভিউ নিয়েছিলেন রাচিন, তবে বাঁচতে পারেননি। ১৬৯ বলে ৯২ রান করেন কিউই ব্যাটার। খানিক বাদে পরই উইলিয়াম ও'রুর্ক বিদায় নিতেই মেতে ওঠে জয়ের আনন্দে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে তিন ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানের লিড নেয় নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে এজাজ প্যাটেলের ৬ উইকেটে লঙ্কানরা ৩০৯ রানে অলআউট হলে কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৫ রান।
কিন্তু প্রবাত জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে এই লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারলো কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া জয়াসুরিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেওয়া জয়াসুরিয়ার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
দুই দলের সিরিজ নির্ধারণী টেস্টও হবে গলে। ম্যাচ শুরু আগামী বৃহস্পতিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর শ্রীলঙ্কা: ৩০৫ ও ৩০৯ নিউ জিল্যান্ড: ৩৪০ ও ২১১ ফল: শ্রীলঙ্কা ৬৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: প্রবাত জয়াসুরিয়া। সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।