‘জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনগণের সরকার। জনগণের এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই জুলাই বিপ্লবে অসংখ্য ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে। তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়ামে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ সব কথা বলেছেন।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা বসে নেই এবং তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তারেক রহমান বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা হিসেবে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
সমাবেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কিশোরগঞ্জে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
সমাবেশকে সফল করতে স্থানীয় বিএনপি কয়েকদিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জনসভাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। বেলা ৩টায় জনসভা থাকলেও সকাল থেকে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা যায়। রোদ ও গরম উপেক্ষা করে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অনেককে সকাল থেকে স্টেডিয়ামে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবী শহীদ ও আহতদের স্মরণে জেলা বিএনপি আজকে এ সমাবেশের আয়োজন করে।