মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জাতীয় উদ্যান লাউছড়ায় পর্যটক কমলেও বেড়েছে বন্যপ্রাণির বিচরণ। দর্শনার্থীদের হইহল্লা না থাকায় বনের ভিতর আপন মনে বন্যপ্রাণিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে সকাল-সন্ধ্যায়। ভোরের আলো ফোটার আগে ও সন্ধ্যায় সহজেই দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণির। ডাক শোনা যায় মায়া হরিণের। গাছে গাছে লাফালাফি করছে চশমা হনুমান ও উল্টা লেজি বানর।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে প্রায় ৩ মাস ধরে আশানুরুপ পর্যটক না আসায় রাজস্ব আয় কমেছে। তবে বন্যপ্রাণির বিচরণ বেড়ে গিয়ে এদের প্রজননও বেড়েছে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় টুরিস্ট গাইড অজানা আহমদ বলেন, পর্যটক কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে টিকেটের দাম বৃদ্ধি অন্যতম একটি। তারপর বন্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
লাউয়াছড়ার ভিতরে স্থানীয় পর্যটক কামরান আহমদ বলেন, পর্যটক কমে যাওয়ায় টুরিস্ট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।
স্থানীয় আরেক পর্যটক শিপন মিয়া বলেন, লোকজন কম আসলে বন্যপ্রাণির অবাধ বিচরণ থাকে। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও ঠিক থাকে। খাদ্যের অভাবে বন্যপ্রাণিরা লোকালয়ে ছুটে যায় না ।
লাউয়াছড়া উদ্যানের সহব্যবস্থাপনা কর্মী সিরাজ মিয়া বলেন, আগের তুলনায় পর্যটক কমেছে। ১২৫০ হেক্টর ভূমি জুড়ে সংরক্ষিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। মানুষের আনাগোনা কমলে সকাল সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণির বিচরণ দেখা যায়।
বনবিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ রেইঞ্জার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে পর্যটক কমেছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে। বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি পর্যটক আসেন না। এতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় হয়। এক সময় দিনে কয়েকশত পর্যটক আসতেন। আয় অনেক বেশি হত।
তিনি বলেন, পর্যটক কমে যাওয়ায় বন্যপ্রাণির অবাধ বিচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদের প্রজননও বাড়ছে।