টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সাকিব আল হাসান ছিলেন অধিনায়ক। ২০২৪ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে সাকিবকে নেতৃত্ব দেওয়া হলেও ফেব্রুয়ারিতে ছেড়ে দেন দায়িত্ব। একসঙ্গে তিন সংস্করণের অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন সাকিব। বিশ্বকাপের প্রায় তিন মাস পর বিষটি সামনে আনেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
কানপুর গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টের আগের দিন বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান সাকিব, ‘টি-টোয়েন্টি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে। নির্বাচক, প্রেসিডেন্ট সবার সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমার কাছে মনে হয়, এটাই সঠিক সময় যে টি-টোয়েন্টি থেকেও আমি মুভ অন করি।’
ভারতের বিপক্ষেসহ সামনের সিরিজগুলোতে নতুনদের সুযোগ দিতে এমন সিদ্ধান্ত সাকিবের, ‘আপাতত সামনে যে সিরিজগুলো আছে, কিছু নতুন খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া হোক। একই সময় আমি যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাই, ওখানে ভালো করতে থাকি; ৬ মাস বা এক বছর পর যদি কখনো বিসিবি মনে করে যে, টি-টোয়েন্টিতে আমার অবদান রাখার একটা সুযোগ আছে, আমি পারফর্ম করছি এবং ফিট আছি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে এই সময় আমি নিজেকে টি-টোয়েন্টিতে দেখছি না। আপনারা বলতেই পারেন যে, দুটো সংস্করণে আমি আমার শেষটা দেখছি।’
১২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিব ২ হাজার ৫৫১ রান করেছেন সাকিব। ফিফটি করেছেন ১৩টি। বল হাতে সমান ম্যাচে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। এতো উইকেট আর কোনো বোলার নিতে পারেননি। বাংলাদেশকে এই সংস্করণে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩৯টি ম্যাচে।
সাকিব বলেন, ‘এই সিরিজগুলো আমি খেলার কোনো কারণ আছে বলে মনে করিনা। আমার কাছে মনে হয়,নতুন নতুন কিছু খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদেরকে দেখার এটাই সবচেয়ে বড় সময় ও সুযোগ।’
‘এটা (ভারত সিরিজ) আছে, তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে এরপর আরও কিছু হয়তো আছে। আমার মনে হয় ২০২৬ সালের দিকে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চিন্তা করে, তাহলে সেটাই হবে সব থেকে ভালো দিক। এটা আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এটাই ভালো’-আরও যোগ করেন সাকিব।