সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলায় বজ্রপাতে ৪ জন মৃত্যু হয়েছে। এদিন জেলার আরেক উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার দোয়ারাবাজারে ২ জন, জামালগঞ্জ ১ জন ও ছাতক উপজেলায় ১ জন বজ্রপাতে এবং বিশ্বম্ভরপুরে ১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
রোববার ( ২৯ সেপ্টেম্বর ) সকালে উপজেলা পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জালাল উদ্দিন (৩৬) ও একই গ্রামের মো. নুরুল হকের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (২৬) হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তারা দুজন দেখার হাওরে মাছ ধরতে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে শরীফ মিয়া (৩০) নামে আরও একজনের বজ্রঘাতে মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের কালাগুজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোররাতে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে কালাগুজা গ্রামের নয়া হাওরে মাছ ধরার জন্য যান শরীফ।
একইদিন সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের পাশের হাওরে সুন্দর আলী ৪০ নামের আরেক বৃদ্ধ বজ্রপাতে মারা যান। তিনি মল্লিকপুর গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে। জানা যায়, সকালে বৃষ্টির মধ্যে ছাতক উপজেলার বোয়ালীয়া হাওরে মাছ ধরতে যান সুন্দর আলী। অপরদিকে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মতুরকান্দি গ্রাম সংলগ্ন রাতের কোনো এক সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক আজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ) সকালে স্থানীয় গ্রামের লোকজন ট্রান্সমিটার কুটির নীচে সরঞ্জামসহ তার মরদেহ দেখতে পান। গ্রামের লোকজন ধারণা করছেন রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটার চুরি করতে এসে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন জানান, সুনামগঞ্জের ৩ উপজেলায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্বম্ভরপুরে একজন মারা গেছেন।