ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রাম কলেজে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পরে তারা অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কয়েক শ শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কলেজের ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা ‘কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি, চলবে না, চলবে না’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও-পুঁড়িয়ে দাও,’ ‘তুমি কে, আমি কে, ছাত্র-ছাত্র’, ‘ওয়াসিমের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নেই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং দাবি আদায়ে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা, শহিদ ওয়াসিমের নামে কলেজের কোনো বিশেষ স্থাপনার নামকরণ এবং পরিবারের পুনর্বাসনে কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা রাখা, দ্রুত হল সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা, যারা পতিত স্বৈরাচারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ও জুলাই বিপ্লবে নির্যাতনকারী হিসেবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও জুলাই বিপ্লবে ক্ষতিগ্রস্ত আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার কলেজ প্রশাসন কর্তৃক বহন করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম কলেজ শাখার সমন্বয়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ বলেন, শহিদদের ত্যাগ আমাদের অঙ্গীকারে শক্তি জোগায় এবং তাদের আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক। শহিদদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা আজ একটি নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বাঁচতে পারছি। তাদের স্মৃতি আমাদের সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। শহিদদের রক্তভেজা এই বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অধিকার সুনিশ্চিত হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না।