বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালা থেকে অপহরণ করার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: খুলনার আলোচিত ধর্ষণ মামলা: কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এজাহারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে জবানবন্দি দিলেন সেই তরুণী, গ্রেপ্তার হয়নি চেয়ারম্যান
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুর রহমান, গাজী আব্দুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম সুমন, সাদ্দাম গাজী, ইমরান হোসাইন, হেদায়েত মোড়ল, রবিউল ইসলাম, আকাশ, স্বাধীন, সোহেল মোল্লা, পিয়াস, শিউলী বেগম, সবুরননেছা, ইব্রাহীম গাজী ও আনোয়ার পারভেজ শাওন।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ার সেই চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা
সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। পরদিন বিকেলে হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে কয়েকজন লোক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিলো দুর্বৃত্তরা
আদালতে বাদী অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবার মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি আমাদের কাছে আসেন। এখন তিনি ভয়ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে এবং সত্য কথা বলার জন্য প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুনে এবং তাকে সহযোগিতা করার জন্য আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এজাহারে উল্লিখিত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।