সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুতে অধিকতর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পিবিআই ও সিআইডি ক্রাইম সিন।
মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আফম মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন। এর আগে আজ ভোর রাতে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমেরখাল নামক আশ্রয়ন প্রকল্পে আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক এই মৃত্যু ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, রাতে ঘরের ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিলো। পাশের ঘরের লোকজন আগুনের ধোয়া দেখে চিৎকার করতে থাকেন। এসময় স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে দেখতে পায় একই পরিবারের দম্পতি ও তার চার সন্তান অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত হয়ে পড়ে আছে।
নিহত দম্পতির নাম এমারুল (৫০), তার স্ত্রী পলি আক্তার। তাদের চার সন্তানের নাম পলাশ মিয়া (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা (৫) ও উমর ফারুক (৩)। এমারুল পেশায় একজন জেলে।
জানা যায়, ভুমিহীন এমারুল ২০০১ সাল থেকে শীমের খাল নামকস্থানে সরকারী খাস জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন।২০২১ সালে সরকারিভাবে এই স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্প করলে তাকে একটি ঘর দেওয়া হয়। সেখানেই পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
পরে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, কি কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে তা অধিকতর তদন্তের জন্য সিলেট থেকে সিআইডি’র ক্রাইম সিন ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) সিলেট থেকে আসছে। তারা আরো তদন্ত করে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ঘর বন্ধ ছিলো ভিতর থেকে, ভিতরেই আগুন লেগেছে। ঘরের ভিতরে স্বামী-স্ত্রী ও চার সন্তান মারা গেছেন। তবে ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক। তিনি বলেন, এই পরিবার যদি আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকতো তাহলে আমাদের কাছে জানালে আমরা সহায়তা করতাম। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এমন কোন কাজ না করে এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।