শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে ৩ শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুশিক্ষিত জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষা ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিক্ষার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডিপ্লোমাধারী নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে একই যোগ্যতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ৮ম শ্রেণি পাশের একজন গাড়িচালক বেতন পায় ১২তম গ্রেডে। এ থেকে বোঝা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অবহেলিত।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। এ জন্য অনতিবিলম্বে তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা দরকার। এ যৌক্তিক দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরও বৃহত্তম কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক সমন্বয়ক এস এম রমজান, হারুন অর রশিদ শাহিন, নূরে আলম মইনূদ্দীন। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, একে আজাদ, মাসুদ হাসান, জান্নাত আরা জ্যোতি, লিজা চিরান, তাজুল ইসলাম, শামীম আহমেদ, শাহ জাহান সাজু, আব্দুল কাদির প্রমুখ।
পরে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে ন্যায্যতা ও গোগ্যতার ভিত্তিতে জীবনমান উন্নয়নে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের যুক্তি তুলে ধরে সরকারের কাছে এক দফার দাবি জানানো হয়।