গতকাল সকালে গ্রেপ্তার করা হয় ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে। পরে আলিপুর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান ‘পদ্মা নদীর মাঝি’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
গত ২ অক্টোবর সকালে বাঁশদ্রোণীতে পথ দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলের মুক্তির দাবিতে বুধবার রাত থেকে থানায় ধর্নায় বসেন রূপা গাঙ্গুলি। তিনি জানান, যত দিন দাবি পূরণ হচ্ছে, তত দিন থানায় বসে থাকবেন। কিন্তু গতকাল সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বার্মা জানান, রূপা গাঙ্গুলি থানার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়। পরে আলিপুর আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
লালবাজার থানা পুলিশ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর রূপা গাঙ্গুলিকে লকআপে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে কোর্টে তোলা হয়, পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ সদস্য রূপা গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি দলের কর্মসূচিতেই বারুইপুরে গিয়ছিলাম। ফেরার পথে বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। এক সময় মনে হয়, বিচারের জন্য প্রতিবাদটা চালিয়ে যেতে হবে। সঙ্গীদের নিয়ে ধর্নায় বসি। বাকিদের রাতে বা ভোরে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও আমি সারা রাত বসে থাকি।’
এতদিন পর আবার রাস্তার রাজনীতিতে আসা কি নতুন করে ‘নেত্রী’ হয়ে ওঠার জন্য? এমন প্রশ্নের জবাবে রূপা গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি ওইভাবে ভাবি না, সেই সময়ে নিহত বাচ্চাটার কথা, পরিবারের কষ্টের কথাই আমার মাথায় ছিল। অত রাতে থানার সামনে স্লোগানের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হবে ভেবেই ধর্নার সিদ্ধান্ত নিই।’
১৯৮৮ সালে টিভি সিরিয়াল মহাভারতে ধ্রুপদী চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছিলেন রূপা গাঙ্গুলি। তারপর অনেক সিনেমায় অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন নানা পুরস্কার, সেই সঙ্গে জিতেছেন দর্শকদের মন। ১৯৯২ সালে গৌতম ঘোষ নির্মিত ‘পদ্ম নদীর মাঝি’ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় এখনো দর্শক মনে গেঁথে আছে। ২০১৫ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন এই অভিনেত্রী।