বগুড়ায় জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার এক যুগ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেছেন নিহতের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান। মামলায় তিনি ৪৩ জনের নাম ও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।
বগুড়া সদর থানার এসআই আব্দুর রহীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিজানুর কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ায় মুরগির হ্যাচারিতে কাজ করতেন। পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসসহ ৪৩ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ডো প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর। এ সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। তারা মিজানুরকে ছুরিকাঘাত এবং লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে মিজানুরের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে আসামীরা চলে যান।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, নিহতের মরদেহ দাফন এবং কাফনের পর মোছাদ্দিকুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তাকে মোবাইল ফোনে মামলা না করার জন্য হুমকি প্রদান করা হয়। হুমকিতে বাদীকে তার পরিবারসহ গুম করার কথা জানানো হয়। যে কারণে তিনি ওই সময় আর মামলা করেননি।