বগুড়ার ধুনটে শাহীন আলম (৫০) নামে ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক নারীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী (বড়ইতলী) গ্রামে ঘটনাটি হয়। ভুক্তভোগীর শ্যালক রিপন মিয়া শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ধুনট থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শাহীন উপজেলার নিমগাছী গ্রামের বাসিন্দা।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, রিপনের বাড়ির পাশেই তার বোন জামাই বসবাস করেন। ঘটনার সাথে জড়িত ওই নারীও তাদের প্রতিবেশী। এই সুবাদে তার বোন জামাইয়ের সঙ্গে ওই নারীর সুসম্পর্ক ছিল। অজ্ঞাত কারণে গতকাল রাতে ওই নারীর হুকুমে মজনু মিয়া নামে আরেক প্রতিবেশি তার বোন জামাইকে ওই নারীর বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ওই নারী এবং মজনুসহ আরো কয়েকজন মিলে তার বোন জামাই শাহীন আলমের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। এরপর তার শাহীন আলম রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে তাদেরকে ঘটনাটি জানায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে ওই নারীর হাতে তিনি দেশীয় অস্ত্র দেখতে পান। ওই নারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি লিঙ্গ কর্তনের কথা স্বীকার করেন। পরে রিপন মিয়া তার বোন জামাইয়ের চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার রিপন বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, একই এলাকায় বসবাস করায় অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে শাহীন আলমের সুসম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি ওই নারী শাহীন আলমের কাছে থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা পরিশোধ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়। এরপর থেকে ওই নারীর বাড়িতে শাহীন আলম নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গতকাল রাতে শাহীনের চিৎকারে তারা বাড়ির বাইরে আসেন। এসময় তারা শাহীনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌঁড়ে যেতে দেখেন।
শিয়ালী গ্রামের মেম্বার মাসুম মিয়া জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। তাকে ওই নারীর পরিবারের থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, শাহীন আলম ওই নারীর সঙ্গে জোর করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে তিনি এ কাজটি করেছে। তারা থানায় মামলা করতে চান, সে জন্য তারা আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমি তখন তাদের বলেছিলেন, মামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ তোমাদের বিষয়। তোমাদেরকে আমি হ্যাও বলবো না, না ও বলবো না।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, ‘একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা এলাকায় এখনো যেতে পারিনি। যেহেতু, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে পারিনি তাই ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কেউ আটক নেই। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’