খুলনা নগরীর খালিশপুর থানার ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপির সুধী সমাবেশে দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগর বিএনপি ৪ জনকে বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে বিএনপি সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশস্থলে সামনের চেয়ারে বসা ও মঞ্চে উঠা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সংঘর্ষে ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মো. সোহেল, ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নূরুজ্জামান এবং বিএনপির সদস্য শহিদসহ ১৫ জন আহত হন। তাদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, মঞ্চে উঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। আমি হাসপাতালে তাদেরকে দেখে এসেছেন।
খালিশপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
এদিকে বিএনপির মিডিয়াসেল জানিয়েছে, সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালিশপুর থানার ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে বিএনপি মিডিয়া সেল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিজ্ঞপ্তিতে ওই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।