শোবিজ অঙ্গনের প্রেম-বিয়ে-সংসার নিয়ে বরাবরই মানুষের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। কিন্তু এই ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে নাঈম-শাবনাজ ‘আইডল দম্পতির’-এর তকমা কুড়িয়েছেন। দেশের অন্যতম আদর্শ তারকা দম্পতি নাঈম-শাবনাজ। দুজনই এখন জীবনটা উপভোগ করছেন। দুই সন্তান নামিরা ও মাহাদিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) নাঈম-শাবনাজ তাদের বিবাহিত জীবনের ৩০ বছর পেরিয়ে ৩১ বছরে পা রাখলেন। অন্যদিকে, ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর মুক্তি পায় এহতেশাম পরিচালিত তাদের প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী’। সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এ জুটির সিনেমাগুলো দারুণ দর্শকপ্রিয়। জুটি হিসেবে নাঈম-শাবনাজও ছিলেন দর্শকের কাছে ভীষণ পছন্দের।
১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি বাবা খাজা মুরাদ ইন্তেকাল করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নাঈম। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর শাবনাজকে বিয়ে করেন তিনি। মূলত, শফিউল আজম পরিচালিত ‘বিষের বাঁশি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।
এ বিষয়ে নাঈম বলেন, ‘‘বিষের বাঁশি’ সিনেমায় শাবনাজের চরিত্রের নাম ছিল ময়না। সেই তখন থেকে আজ অবধি তাকে আমি ময়না বলেই ডাকি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা বেশ ভালো আছি। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া যে তিনি আমাদের সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। আমাদের দুই সন্তান, দুই মেয়ে নামিরা ও মাহাদিয়াকে আল্লাহ ভালো রেখেছেন। সবার কাছে আমরা দোয়াপ্রার্থী, আল্লাহ যেন বাকি জীবন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন।”
বিবাহিত জীবন এবং চলচ্চিত্র জীবনের বিষয়ে শাবনাজ বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত যে নাঈমের মতো পরিপূর্ণ একজন মানুষকে আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। আমার সুখে-দুঃখে যেমন নাঈম সবসময় পাশে থেকেছে, আমিও তার সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। আমরা সুন্দর একটি জীবন গড়েছি, সুখী একটি পরিবার গড়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা দুজন দুটি গর্বিত সন্তানের বাবা-মা। ওদের ঘিরেই আমাদের যত স্বপ্ন এখন। ওদের জন্যই সবার কাছে দোয়া চাই আর পরম শ্রদ্ধা রইল আমাদের প্রথম সিনেমার পরিচালক শ্রদ্ধেয় এহতেশাম স্যারসহ আমাদের সব সিনেমার পরিচালকের প্রতি।’
১৯৯৪ সাল পর্যন্ত নাঈম-শাবনাজ অভিনীত ‘চাঁদনী’, ‘সোনিয়া’, ‘দিল’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত’, ‘লাভ’ সিনেমাগুলো দর্শকের কাছে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়।