ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) ফেনীর জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার ড. মো. আবু হানিফা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ দিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে মাদ্রাসার শিক্ষক গাজী মীর ইকবাল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলার পর থেকে অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান পলাতক রয়েছেন।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সভাপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে নানা অপকর্মের হোতা ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সরকার পতনের পর গত কয়েক দিন ধরে বিতর্কিত এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।