রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন। এর আগে, শুক্র ও শনিবার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে রুবেল (২৩) ও আবরারকে (১৭) হত্যা মামলায় এবং রাকিব (২৭) ও আরিফুলকে (১৭) অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলার আসামি মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রাঙামাটিতে নিয়ে আসা হয়। হত্যা মামলার অপর আসামিকে শনিবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় শনিবার বিকেলে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে রাকিবকে ও রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অপরজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বরে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হন। ২০ সেপ্টেম্বরে এসব ঘটনার প্রতিবাদে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া অনিক কুমার চাকমা নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত অনিক কুমার চাকমার বাবা আদর সেন চাকমা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই হাজারের অধিক অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে পুলিশ।