বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফটের বাকি নেই আর বেশিদিন। আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রিকেটারদের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে।
খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করছে জাতীয় নির্বাচক প্যানেল। হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও এখনও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ক্যাটাগরি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেনি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পারিশ্রমিক নির্ধারণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কোন ক্রিকেটার কোন ক্যাটাগরিতে পড়ছেন সেটাও প্রায় চূড়ান্ত। ১২-১৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে বাকি। তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত চলে আসলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরির তালিকা।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ছয়টি ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় বিপিএলের এবারের আসরে কমছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৬০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা। গত আসরে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ছিল ৮০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ছিল ৫ লাখ টাকা। এবার ৫ লাখের ক্যাটাগরি বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘এ’ থেকে ‘এফ’ এই ছয়টি ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পাবেন। এরপর ‘বি’ ৪০ লাখ, ‘সি’ ২৫ লাখ, ‘ডি ২০ লাখ, ‘ই’ ১৫ লাখ এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।
এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরির কাছাকাছি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে এর আগে বড় তফাৎ থাকত। এ নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগও ছিল। এবার সেই বৈষম্য দূর করে পারিশ্রমিক কাছাকাছি রাখতে চায় আয়োজকরা।
সরাসরি সাইন এবং রিটেইন লিস্টের ক্রিকেটাররা এই ড্রাফটের বাইরে থাকবেন। তারা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলাদাভাবে চুক্তি করবেন। তবে এখনও প্লেয়ার্স রিটেনশন পলিসি, অ্যাভেইলেভিলিটি, ডিরেক্ট সাইনিং নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। গতকাল সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ড্রাফটের আগে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, ‘আমাদের যেহেতু ড্রাফট ১৪ তারিখ। এটা ওখানেই রেখেছি, ওইদিনই হবে। তার আগে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের রিটেনশনের ব্যাপারটা ভালোমতো কার্যকর হতো যদি সাতটা টিমই (আগের) থাকতো। যেহেতু সাতটা টিম নাই। চারটা টিম আছে আর তিনটা নতুন এসেছে। সেক্ষেত্রে হয় কী আপনার যারা আছেন তাদের এবং যারা আসবেন তাদের, ভারসম্য আনার জন্য কিছুটা এডজাস্টমেন্ট দরকার হয়।’