বাংলাদেশ হতে যুক্তরাজ্যে যদি কোনও অর্থ অবৈধভাবে পাচার হয়ে থাকে তা বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এ আশ্বাস দেন।
রোববার কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব সম্পদ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে সেসব অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আমরা বিদেশিদের সহযোগিতা কামনা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কমিশনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বরাবরই তাদের কাছে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছি। তারাও এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে আসেন ব্রিটিশ হাই কমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা হলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি পলিটিক্যাল দুইন এডেলে সিয়াবোলা, হেড অব পলিটিক্যাল অ্যান্ড গভারন্যান্স টিমুথাই ডাকেট এবং এনসিএ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ অফিসার পিটার ভারনন।
তারা দুদক কার্যালয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানিলন্ডারিংসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। বাংলাদেশ হতে যুক্তরাজ্যে যদি কোনও অর্থ অবৈধভাবে পাচার হয়ে থাকে তা বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেছেন।