অপহরণের সাত দিন পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কালাপাহাড়িয়া গ্রাম থেকে ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে রুমা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রুমা আক্তার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামের সেন্টু মিয়ার মেয়ে।
ভুক্তভোগীর মা মামলায় উল্লেখ করেন, হাজিরটেক এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেল মিয়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে ফিরে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য তিনি তার পরিবারকে পাত্রী পছন্দের জন্য ফোনে জানিয়েছিলেস। গত মাসে শুরুর দিকে রুবেলের পরিবার ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। মেয়ে এখনো নাবালিকা ও পড়ালেখা শেষ হয়নি বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ছাত্রীর বাবা। এ বিষয়টি রুবেলের পরিবার স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে জুতা কিনতে রাধানাগর বাজারে গেলে সেন্টু মিয়া, তার মেয়ে রুমা এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগম জোর করে ছাত্রীকে স্পিডবোটে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা দুই-তিন জনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, মামলার আসামি রুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ওই অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।