বিনোদন

প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া, তবু শাহরুখের ‘অঞ্জলি’ কীভাবে হলেন কাজল?

করন জোহর পরিচালিত বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘কাভি খুশি কাভি গম’। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, কাজল, হৃতিক রোশান, কারিনা কাপুর খানের মতো শিল্পীরা অভিনয় করেন চলচ্চিত্রটিতে। যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত এ চলচ্চিত্র ২০০১ সালে মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলেছিল। দুই দশক পরও এখনো দর্শক মনে রেখেছেন এই চলচ্চিত্রের কথা।

‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমায় ‘অঞ্জলি’ চরিত্রে অভিনয় করেন কাজল। কিন্তু এ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্মাতার প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কোমল নাহতাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছিলেন করন জোহর। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

এ আলাপচারিতায় করন জোহর বলেন, “আমি যখন ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমার শিল্পী নির্বাচন করি, তখন জানতে পারি কাজল সিনেমাটি করতে পারবে না। কারণ কাজল বিয়ে করে কেবল সংসার গুছিয়ে নিচ্ছিল। যার ফলে আমি ভেবেছিলাম, ঐশ্বরিয়াকে প্রস্তাব দেব।”  

কাজলকে ‘অঞ্জলি’ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে করন জোহর বলেন, “একদিন বিকাল ৩টার দিকে কাজলের স্টুডিওতে পৌঁছাই। আমি ধরেই নিই, কাজল ‘না’ বলবে, আমরা চোখের জল ফেলে বিদায় নেব। আর এতে আমার খারাপ লাগবে! কারণ এর আগে আমি কাজলের সঙ্গে কাজ করেছি।”

করন জোহর যেমনটা ভেবে কাজলের স্টুডিওতে গিয়েছিলেন, ঘটনা ঠিক তার বিপরীতটা ঘটেছিল। অর্থাৎ করনের প্রস্তাবে কাজল ‘রাজি’ হয়ে যান। যার ফলে ‘অঞ্জলি’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ঐশ্বরিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। করন জোহরের ভাষায়— ‘আমি জানি না, কি পরিবর্তন হয়েছিল যার কারণে কাজল সিনেমাটি করতে রাজি হয়ে যায়। সুতরাং আমি আর ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা করিনি। কিন্তু চরিত্রটির জন্য ঐশ্বরিয়াই আমার প্রথম পছন্দ ছিল।’

‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমায় অভিনয়ের বিষয় নিয়ে ডিএনএ-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। এখানে করন জোহরের বক্তব্যের সঙ্গে খানিকটা ভিন্নতা পাওয়া যায়।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ডিএনএ-কে বলেছিলেন, ‘করন জোহর চিত্রনাট্যসহ আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু এরপর চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আসে। সুতরাং চরিত্রটাও বদলে যায়। আমি এটা নিশ্চিত। কারণ আমি জানি করন জোহর আমাকে কি বলেছিলেন। পরে পর্দায় যখন সিনেমাটি দেখি, তখন ভিন্ন কিছু দেখেছিলাম। চরিত্রটিতে কাজলকে দুর্দান্ত লেগেছে। কিন্তু আমি এটি করতে পারিনি।’

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডিএনএ