প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগেই চূড়ান্ত ছিল আসবে টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরের ঘোষণা। তবে সেই ঘোষণা দিতে আসবেন কী না এটা নিয়ে ছিল সংশয়। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বাড়তে থাকে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের উৎকণ্ঠা।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ কক্ষে এলেন, ঘোষণা দেন অবসরের। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাইক বিভ্রাট দেখা দেয়, ঘোষণার মাঝে ঘটে বিলম্ব। আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মাহমুদউল্লাহ নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে জানান ভারত সফরের আগে সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
‘হ্যাঁ আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। এই সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলে। আসলে এখানে (ভারতে) আসার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ এবং অধিনায়কের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি বোর্ড সভাপতিকেও জানিয়েছি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছি।’
‘এটা সঠিক সময় এই ফরম্যাট থেকে সরে যাওয়ার। শুধুমাত্র আমার নয়, দলের জন্যও সঠিক সময়। সামনের বিশ্বকাপ চিন্তা করলে এখনই সঠিক সময় এগিয়ে যাওয়ার’ -আরও যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।
টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক হয় ২০০৭ সালে, কেনিয়ার বিপক্ষে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩৯ ম্যাচে ২৩.৪৮ গড়ে ২ হাজার ৩৯৫ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ১১৭.৪। বল হাতে নিয়েছেন ৪০ উইকেট। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৭৭ টি-টোয়েন্টি, মাহমুদউল্লাহ মাঠে ছিলেন অধিকাংশ ম্যাচেই।
২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দুই ম্যাচে ফিফটি করেছেন। সবশেষ ১০ ম্যাচের কোনোটিতে ২৫ রানের উপর উঠতে পারেননি। চলতি বছর বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়েও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়েছেন ৯ বলে ৬ রান করে। তাতে টানা ডট বল ছিল ৫টি!
কানপুর টেস্টের আগে সাকিবের অবসর ঘোষণার পর ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ কবে অবসর নেবেন এই আলোচনা ওঠে। যার রেশ দেখা গেল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগে। নাজমুল হোসেন শান্ত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারত সফর হতে পারে শেষ। ঠিক দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে এলো অবসরের ঘোষণা।