কুষ্টিয়া জেলায় এবার ২৩০টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ৭২টি, খোকসা উপজেলায় ৬২টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৫টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ৭টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব হচ্ছে।
মহালয়াতে দেবী আগমনের ঘণ্টা বাজে। আর বিজয়া দশমী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। দশমী শেষ হয় মহা-আরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার দুর্গাপূজায় মহাষষ্ঠী বুধবার (৯ অক্টোবর, ২২ আশ্বিন)। মহাসপ্তমী পড়েছে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর)। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পড়েছে মহাঅষ্টমী। মহানবমী পড়েছে শনিবার (১২ অক্টোবর)। আর পঞ্জিকামতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে শুরু হয়ে রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিজয়া দশমী চলবে।
এ বছর দেবী দুর্গা আগমন ঘটছে দোলায় চড়ে। দোলায় দেবীর আগমনকে অশুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয়, এতে পৃথিবীর ওপর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে, এ বছর দেবী দুর্গা কৈলাশে ফিরবেন ঘোড়ায় চড়ে, যেটিও অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। সেই হিসাবে এ বছর মহামারি বা মড়ক, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ, অতিমৃত্যুর মতো দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে মুড়ি, নাড়, মিষ্টি বানানোর ধুম। প্রতিটি বাড়িতে উৎসবের আবহ। দশভূজা মাকে বরণের আয়োজনে যেন কমতি না থাকে।
পুজা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পূজা মন্দিরে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়া আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।