হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিতে মহাসড়কে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। শত শত যাত্রীর চাপে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এগুলো তদারকি করার জন্য মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল হতে যাত্রীদের ভীড় ছিল। দুপুরের পর থেকে যাত্রীর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে কাউন্টারে টিকেট না পেয়ে শত শত যাত্রী মহাসড়কের পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় বেশি ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো।
বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শত শত ঘরমুখো যাত্রীর ভিড়। হিন্দুধর্মের মানুষের সঙ্গে ছুটি পেয়ে অনন্য ধর্মের মানুষও গ্রামে ছুটছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে পরিবহনে অন্য দিনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গ্রামে ফিরছে। তবে মহাসড়কের কোথাও পুলিশ চোখে পড়েনি।
অঞ্জলি নামে যাত্রী বলেন, ‘পূজার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি নাটোর যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। অনেক মানুষের ভিড়। সিট পাওয়া যাচ্ছে না। বাসে দাঁড়িয়ে লোক নিচ্ছে, তাও ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। এটি দেখার মতো কেউ নেই। রাস্তায় পুলিশও নেই।’
আলফাজ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ ধরে চন্দ্রায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। ঈদের ছুটির মতো মানুষ বাড়ির দিকে ছুটছে। হাজার হাজার যাত্রী। ৩০০ টাকার ভাড়া ৬০০-৭০০ করে নিচ্ছে, তাও সিট পাওয়া যাচ্ছে না।’
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকার গোপাল সাহা বলেন, পূজা উপলক্ষে ছুটি, তাই সবাই গ্রামে যাচ্ছে। অনেকে গার্মেন্টস ছুটি হলে দুপুরের পর রওনা হয়েছে। তবে রাস্তায় পুলিশ নেই। পুলিশ থাকলে সড়কে শৃঙ্খলা থাকত।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি রইজ উদ্দিন বলেন, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ আছে। অতিরিক্ত চাপ থাকায় অনেক স্থানে পুলিশ যেতে পারছে না। অতিরিক্ত ভাড়া যেন না নিতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।