শুরুতেই গোল হজম করে বসে ব্রাজিল। তখন মনে হচ্ছিলো, দুঃসময় আরও ঝেঁকে বসবে। তবে সেটা হতে দিলেন না ইগো জেসুসু, লুইস হেনরিকরা। তরুণ খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল।
এদুয়ার্দো ভার্গাসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান তরুণ ফরোয়ার্ড জেসুস। পরে ম্যাচের শেষ সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন ৬৮তম মিনিটে বদলি নামা এনরিক।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে ব্রাজিল। কিছু বুঝার আগেই চিলিকে এগিয়ে নেন ভার্গাস। ফেলিপে লয়লার ক্রসে দূরের পোস্টে জোরাল হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ভার্গাস। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন।
গোল খেয়ে জেগে ওঠে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ করে যায় তারা। গোলের শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দরিভাল জুনিয়রের দল। অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তারা এগিয়ে যায়। সাভিনিয়োর চমৎকার ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন তরুণ ফরোয়ার্ড।
সমতায় ফিরে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ব্রাজিল। চিলিকে চেপে ধরে তারা। ৫২তম মিনিটে জালে বলও পাঠায় তারা। কিন্তু রাফিনিয়া অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। ৫৭তম মিনিটে রদিগ্রো ফাউল হলেও মেলেনি পেনাল্টি। ৭৪তম দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেসুস।
অবশেষে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন হেনরিক। ৮৯তম মিনিটে ব্রুনো গিমারাইসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্স থেকে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাম পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। তেমন কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের।
এই জয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো ব্রাজিল। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে কলম্বিয়া। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চিলির অবস্থান নবম।