ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী। গত বছরের ২৫ মে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন ৬০ বছর বয়সি এই অভিনেতা। কনের নাম রুপালি বড়ুয়া। জীবনের এ পর্যায়ে বিয়ে করায় বিষয়টি বহুল চর্চায় পরিণত হয়। এ নিয়ে দারুণ বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন আশিষ।
রুপালিকে বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপূজা উদযাপন করছেন আশীষ বিদ্যার্থী। স্ত্রী রুপালি পাশে থাকায় এবারের পূজা বিশেষ হয়ে উঠেছে। তা জানিয়ে আশীষ বিদ্যার্থী বলেন, ‘বিয়ের পর আমাদের প্রথম পূজা। মুম্বাইয়ে রূপালির প্রথম পূজা। পঞ্চমী থেকে উদযাপনে মেতেছি। ওই দিন আমরা পশ্চিম মালাডের ‘ভূমি পার্ক দুর্গোৎসব’ উদ্বোধন করলাম। অনেক দিন পরে ধুনুচি নাচ নেচে দিল খুশ! প্রত্যেক বছর অবশ্য এই পূজায় আমি থাকি। এ বছর বাড়তি আনন্দ আমার পাশে রূপালি। এক চালার দুর্গা প্রতিমা দেখে ও খুব খুশি। আমি খুশি এই পূজার হাত ধরে ছেলেবেলা ফিরে পাওয়ায়।’
আশীষ বিদ্যার্থীর ছোটবেলার পূজা কেটেছে দিল্লিতে। পূজায় অনেকের প্রেম হয়। কিন্তু আশীষের জীবনে প্রেম আসেনি। তা উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার ছেলেবেলা দিল্লির করোলাবাদে যত্নে রাখা। মনে পড়ে, কলেজ সেরেই পূজামণ্ডপে ছুটতাম। খুব ঢাক বাজাতাম। পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখানো হতো। আর অঞ্জলি, দেবীর ভোগ। আমি রান্নায়ও হাত লাগাতাম। যে দিন ভোগ রান্না সে দিন সকালে হাতা-খুন্তি নিয়ে পৌঁছে যেতাম নির্দিষ্ট স্থানে। খিচুড়ি, লাবড়ায় মিশে যেত হাসি-ঠাট্টার পাঁচফোড়ন। রান্না আরো সুস্বাদু হতো। প্রায় প্রত্যেক দিন বড় গাড়ি ভাড়া করে সারা শহর চষে ফেলতাম। কপাল খারাপ, একটা প্রেম আসেনি জীবনে! কী করে হবে? দিল্লিতে পাড়া কালচার। সবার নজরেই বেলা কেটে গেল! পূজায় প্রেম হলোই না।’
ছোটবেলায় পূজায় প্রেম না হলেও এবার তা পুষিয়ে নিচ্ছেন আশীষ। তার ভাষায়— “সেই অভাব এ বছর মিটিয়ে নিচ্ছি। ষষ্ঠীতেও আমি আর রূপালি মুম্বাইয়ে থাকব। আমাদের ‘স্ট্যান্ডআপ কমেডি’ রয়েছে। সপ্তমী থেকে দেশভ্রমণ শুরু। দেরাদুন থেকে শুরু, পাঞ্জাব হয়ে সর্বত্র ঘুরব। রূপালি খুব আনন্দে রয়েছে। যেখানে যাচ্ছে সেখান থেকেই কিছু না কিছু স্থানীয় গহনা কিনছে। পঞ্চমীর দিন আমরা নিজেদের প্রদেশের পোশাকে সেজেছিলাম। কেরালার মুণ্ডা পরেছি। রূপালি আগের দিন অসমের মেখলা পরেছিল। ষষ্টীতে সেজেছে শাড়িতে। প্রেম করে বিয়ে করলে বয়সটা যেন পিছু হটতে থাকে। এ বছরের পূজা সেটাই বুঝিয়ে দিল।”