ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত যেসব কোম্পানি ইরানের তেল ব্যবসায় ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত সেগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র দপ্তর যৌথভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে ১৬টি সংস্থা ও ১৭টি জাহাজ যেগুলো ইরানের জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই পদক্ষেপটি ইরানের ওপর আর্থিক চাপকে তীব্র করবে। এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর হামলার শাস্তি হিসেবে তাদের রাজস্ব অর্জনের পথ বন্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে- ইরানের জ্বালানি তেল বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে অবৈধভাবে পৌঁছে দেওয়া ‘ভৌতিক জাহাজবহরের’ (ঘোস্ট ফ্লিট) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। ফলে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনকেও তারা আর সমর্থন দিতে পারবে না।
গত ১ অক্টোবরের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। লেবানন ও গাজায় চলমান আগ্রাসন এবং ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়ে হামাস নেতাকে হত্যা করায় ইসরায়েলকে ‘সমুচিত জবাব’ দিতে ওই হামলা চালিয়েছিল তেহরান।
প্রতিশোধের জন্য ইরানের তেলক্ষেত্রে হামলা না করে বরং বিকল্প কোনও উপায় ইসরায়েলের বেছে নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন সূত্র থেকে রয়টার্সকে জানিয়েছে, তেলক্ষেত্রে হামলা করা থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেনদরবার করছে উপসাগরীয় দেশগুলো। তাদের আশঙ্কা, এই হামলা হলে তেহরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোও সংঘর্ষে জড়িয়ে যাবে এবং সংঘাতের ব্যাপ্তি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। তখন তাদের নিজেদের তেলক্ষেত্র ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।