খেলাধুলা

দেশের উইকেট নিয়ে হৃদয়ের আক্ষেপ

ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ী ম্যাচ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভারত সফরের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচকে স্মরণীয় করার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের। তবে সেটা তো হলোই না, উল্টো ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ে গেছেন তাসকিন আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে ভেসেছে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ম্যাচ। বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে।

এই ম্যাচ হেরে আক্ষেপ ঝরলো তাওহীদ হৃদয়ের কণ্ঠে। সেটা ম্যাচ হারের জন্য না, উইকেটের জন্য। বাংলাদেশের মাটিতে এমন উইকেট পাওয়াই যায় না। বাংলাদেশের প্রধান ভেন্যু মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনবান্ধব। তাতে স্পিনাররাই সুবিধা পেয়ে থাকেন। রান আসে কালেভদ্রে। হৃদয়ের চাওয়া স্পোর্টিং উইকেট। যেখানে রান করা যাবে, উইকেটও পড়বে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে স্পোর্টিং পিচের বিকল্প দেখছেন না এই ব্যাটার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, খুবই ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আমরা কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব। আমাদের কিছু জায়গায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে।’

‘দেখেন, প্রত্যেকটা দলেই টপ অর্ডার থেকে রান হয়। সেখানে রান এলে বড় রান হয় স্বাভাবিকভাবেই। টপ ফোর থেকে যদি বড় রান আসে, তাহলে রান ১৮০ হয়। আমাদের সবকিছু মিলিয়ে অনেক জায়গা আছে উন্নতির। এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি সেটা করতে পারব।’- যোগ করেন হৃদয়।

উইকেটের জন্য আক্ষেপ করে হৃদয় বলেন, ‘সব জায়গাতেই কমতি ছিল। একদিন ব্যাটিং ভালো হয়েছে তো বোলিং ভালো হয়নি, বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং ভালো হয়নি। আমরা আসলে এই রকম উইকেটে খেলি না। আমি অজুহাত দিচ্ছি না। তবে আমরা এ ধরনের উইকেটে আমরা যত খেলব ততো ভালো করবো।’

এই ব্যাটার আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাক্সিমাম প্লেয়ার উইকেট রিড করতে পারি না। আমরা ম্যাক্সিমাম ক্রিকেট খেলি মিরপুরে। চট্টগ্রামে খেললে জানি যে কি উইকেট হবে। কিন্তু অন্য জায়গায় একেকদিন একেকরকম উইকেট থাকে। আমরা যদি ভালো উইকেট খেলতে থাকি, তাহলে ডে বাই ডে উন্নতি করতে পারব। রাতারাতি হবে না। ভারতে আমাদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।  সব বিভাগেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।’

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর পিচ নিয়ে ক্ষোচ উগড়ে দিয়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের ভাষ্য, ‘১৮০-২০০ কিন্তু ওদের নিয়মিত রান। যেটা হয়তো আমাদের জন্য ১৩০-৪০, হোমে। এই অভ্যাসটা আমাদের খুবই কম, যেটা বাস্তবতা। আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের হোম কন্ডিশন আরও উন্নত হবে। আমাদের আরও বড় রান চেজ করার, ডিফেন্ড করার ক্ষমতা হবে।’

সঙ্গে তাসকিন দাবি রাখলেন বিদেশি বিভিন্ন লিগে খেলার সুযোগ দেওয়ার,  ‘একই সময়ে আমরা যদি অবসর সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পারি আমাদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমাদের ঘরোয়া লিগের উইকেট আর কাঠামো যত উন্নত হবে আমাদের ততো ভালো হবে।’

তাসকিন আর হৃদয় তাদের চাওয়া জানিয়ে রাখলেন। এখন দেখার পালা, মিরপুরের চিরচেনা উইকেটের বাংলাদেশকে খেলতে হয় নাকি স্পোর্টিং পিচে খেলতে দিয়ে তাসকিন-হৃদয়দের উন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়।