শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের তিলক লাগাউনে (বয়োজ্যেষ্ঠরা ছোটদের আশীর্বাদ দেওয়া) উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটির জেল রোডস্থ সুর নিকেতন সংগীত শিক্ষালয় ভবনে সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খার আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই উত্সব পালন করা হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন মন্দিরের মণ্ডপে দশমীর অঞ্জলী প্রদান শেষে গুর্খা সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে এই উৎসব আয়োজন করা হয়।
উৎসবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ, গুর্খা সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা রাম বাহাদুর রায়, গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মঞ্জুরানী গুর্খা, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনেরসহ সভাপতি শীলা রায়, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর গুর্খা, লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা সংগীতা দে, গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্য হিমাদ্রী বাহাদুর গুর্খা এবং সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
সভার শুরুতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আগত বয়োজ্যেষ্ঠ অতিথিরা ছোটদের কপালে তিলক লাগিয়ে দেন।
গুর্খা সম্প্রদায়ের নেতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা বলেন, ‘আদিকাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ শারদীয় দুর্গা উৎসবের দশমীর দিনে এই তিলক লাগাউনে উৎসব পালন করে আসছে। এই উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সৌহাদ্য বৃদ্ধি পায়।’
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, ‘পাহাড়ে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সাংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে চলার পথ দেখাতে হবে।’
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, ‘বিজয়া দশমীতে রাঙামাটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে গুর্খা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে টিকা লাগাউনে বা তিলক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ফলে ছোটরা বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করতে শিখছে।’