চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাসহ সাতজনকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ এ লিগ্যাল নোটিস পাঠান।
যাদের লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন: বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন মিয়া, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান।
নোটিসে ১০ দিনের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে থেকে সরাসরি পাইকারির বাজারে অবাধে পণ্য প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করা, ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের আইনের আওতায় আনা, প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, অসাধু মজুতদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা, নোটিস গ্রহীতাদের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য সকল ছুটি বাতিল ঘোষণা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়েছে, শুধু কাগজ-কলমে টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিদপ্তরের নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাস্তবিক অর্থে দ্রব্যমূল্য কমেনি, বরং দিন দিন তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। ব্যবসায়ীরা বন্যা ও বৃষ্টির অজুহাতে দাম বৃদ্ধির কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রচুর মুনাফা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি নামে-বেনামে চাঁদাবাজির কারণেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।