জাতীয়

মেট্রোর মিরপুর-১০ স্টেশন চালুতে ব্যয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা: ফাওজুল কবির

কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাঙচুর-হামলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চালু হয়েছে। এই মেট্রো স্টেশন চালু করতে সময় লেগেছে দুই মাস ১৭ দিন, ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া কাজীপাড়া এবং মিরপুর-১০ স্টেশনে মোট ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।

আজ সকালে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু হওয়ার পর পরিদর্শন করেন যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পগুলোর ব্যয় কমাতে অবশ্যই তার সংশোধন করা হবে।

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি তাই সেসব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিসিটিভি ফুটেজ আছে এই ভাঙচুর শিক্ষার্থীরা করেনি দুষ্কৃতিকারীরা করেছে বলেও জানান তিনি।

মেট্রোরেলে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ছাত্ররা কেউ করেনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতকারী যারা আছে, আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই স্টেশন ঠিক করতে আড়াইশ কোটি টাকা লাগবে বলছিলো, আমরা সব মিলিয়ে সেটা ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় করতে পারছি-এটা আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা। শুধু এখানেই না আমাদের সব জায়গায় ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে।

তিনি বলেন, এটা মেট্রোরেলে বলেন শুধু তাই না, রেল পথ মন্ত্রণালয় বলেন, সড়ক পথ বলেন সব জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। আমরা এটা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সব জায়গায় করতে হবে। আমার কাছে প্রতিদিন আসে। ব্যয় বাড়াতে হবে, সময় বাড়াতে হবে। আমরা বলেছি না, প্রকল্প সময়ের আগেই শেষ করতে হবে এবং নির্ধারিত বাজেটের মধ্যেই করতে হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিএমটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে’।

পড়ুন: ৮৭ দিন পর ফের চালু মেট্রোর মিরপুর-১০ স্টেশন