দুঃসময় কাটিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্রাজিল। টানা দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সেটার ইঙ্গিতই দিলো দরিভাল জুনিয়রের দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের লড়াইয়ে এবার তারা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিলো পেরুকে।
ব্রাজিলের হয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন রাফিনহা। দুটোই পেনাল্টি থেকে। একবার করে জাল খুঁজে নেন দুই বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইস এনরিক। তাতেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৬ অক্টোবর) ব্রাসিলিয়ায় থেকেই প্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলে ব্রাজিল। তবে আক্রমণে গিয়েই বারবার খেই হারিয়ে ফেলে পাঁচবারের শিরোপাধারীরা। তারা প্রথম শট নেয় ৩৮তম মিনিট। সেই শটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
ইগো জেসুসের চ্যালেঞ্জের মুখে ডি বক্সে পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোর হাতে দুইবার বল লাগে। শুরুতে হ্যান্ডবলের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। পরে ভিএআরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। পোস্ট ঘেঁষে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন রাফিনহা।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রদ্রিগো। বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড নেন দুর্বল শট। ফলে প্রথমার্ধে এক গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দরিভালের দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ব্রাজিল। আবারও পেনাল্টি এবং রাফিনহার গোল। এবার সঠিক দিকেই ঝাঁপ দিয়েও বলের নাগাল পাননি পেরু গোলরক্ষক গালেসি। জোরালে শটে দেশের হয়ে নবম গোল তুলে নেন রাফিনহা।
২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ব্রাজিল। এর মধ্যেই ৬৯তম মিনিটে এক সঙ্গে এনরিক ও পেরেইরাকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ। ৭১তম মিনিটে এর ফল পায় ব্রাজিল। পেরেইরার গোলে তৃতীয় লিড নেয় সেলেসাওরা।
৭৪তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করে ফেলেন এনহিক। জেসুসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন আগের ম্যাচে দলকে জেতানো বতাফোগোর এই ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিল। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে তিনে আছে উরুগুয়ে। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে কলম্বিয়া। শীর্ষে যথারীতি লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ২২।